গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় আইডিয়াল হাইস্কুলের ভোকেশনাল শাখার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শতাধিক শিক্ষার্থী নম্বরপত্রের জন্য বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেও তা হাতে পায়নি।
বুধবার (২৫ জুন) শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ ঘোষ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকির আব্দুল কাদেরকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানায়, এ বছর আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় পরীক্ষা দিয়ে প্রায় দেড়শ‘ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পাসের পর এসব শিক্ষার্থী অন্যত্র ভর্তির জন্য বিদ্যালয় অফিসে গেলে প্রধান শিক্ষক নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র না দিয়ে এফ.কে টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে ভর্তির জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকির আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, মাধ্যমিক শাখায় দুই বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে তাদের প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করতে প্রায় লাখ টাকা লাগবে বলে অনেক শিক্ষার্থীই এখানে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক।
এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীই দরিদ্র পরিবারের। তারা অভিযোগ করে বলে, বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ফকীর আব্দুল কাদের আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং একই সঙ্গে এফ.কে টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সংক্রান্ত সমস্যা অনেক শিক্ষার্থী আমাকে জানালে আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও পঙ্কজ ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ডেকে নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র দিয়ে দেওয়ার কথা বললে তিনি তাতে রাজি হন। কিন্তু পরে নম্বরপত্র প্রদান না করা সম্পর্কে তিনি আর কিছু জানেন না। এছাড়া প্রধান শিক্ষক একসঙ্গে দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান থাকতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ফকির আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪