ঢাকা: বৃহস্পতিবারের মধ্যে টিআইবিকে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ জমা দিতে বলেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
সোমবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা জাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফখারুজ্জামানের কাছে এ তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হয়।
এতে বলা হয়, টিআইবি একটি প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে ধরেছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণে আগ্রহী।
সেখানে চারটি বিষয় তথ্য দিতে সুনিদিষ্ঠ করে বলা হয়েছে। যে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয় উপর গবেষণা চালানো হয়েছে সেগুলোর তালিকা।
প্রতিবেদনের ১৯ পৃষ্ঠায় ঢাকা সরকারি ও বেসরকারি ৯৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যদাতা নাম, পদবি ও তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ ৪.২.৪ সারণিতে ৪.১ তে বিভিন্ন ধরনের অর্থ লেনদেনে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচিত ও তথ্যদাতার নাম ও ঠিকানা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
তাই প্রতিবেদনের সুনির্দিষ্ট তথ্যবলী আগামী ১৭ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বাণিজ্য ও এর সাথে শিক্ষামন্ত্রণালয়, ইউজিসির কর্মকর্তা জড়িত বলে রিপোর্ট প্রকাশ করে টিআইবি। এর পরই শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি এর কড়া প্রতিবাদ জানান।
মন্ত্রী বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রণালয়ে।
এর আগে প্রতিবেদনের একটি কপি গত ৭ জুলাই সচিবালেয়ে গেটে জমা দেয় টিআইবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪