ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ক্ষমতাধর শিক্ষিকাকে নিয়ে বিপাকে রংপুর শিক্ষা বিভাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৪
ক্ষমতাধর শিক্ষিকাকে নিয়ে বিপাকে রংপুর শিক্ষা বিভাগ

রংপুর: বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বদলি হওয়া মিঠাপুকুর উপজেলার প্রধান শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন মাত্র ২৮ দিনের মাথায় তার বদলির আদেশ বাতিল করাতে সক্ষম হয়েছেন।

আর এতে ক্ষমতাধর এ শিক্ষিকাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে রংপুর শিক্ষা বিভাগ।



রংপুর জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ বছর ধরে মিঠাপুকুর উপজেলার বালুচর কাশিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদে চাকরি করে আসছেন মাহফুজা খাতুন।

অভিযোগ আছে, তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাকে অন্যত্র বদলির জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন।

আর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা বিভাগ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে মাহফুজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২৫ জুন তাকে বালুচর কাশিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চক দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। যার অফিস আদেশ নম্বর জেপ্রাশিঅ/রং/প্রঃ বদলি/১৩৫১/৪।

এদিকে, তার স্থলে আবু সুফিয়ান নামে এক শিক্ষক যোগদান করেছেন। কিন্তু মাহফুজা খাতুন চক দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান না করে বদলি ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

তিনি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার বদলি আদেশ বাতিল করাতে সমর্থ হন। অবশেষে ২৩ জুলাই তার বদলি আদেশ বাতিল করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলরুবা বেগম চিঠি দেন। যার স্মারক নং-জেপ্রাশিঅ/রং/প্রঃ বদলি/১৬৪২/৪।

বদলি আদেশ বাতিল করাতে সক্ষম হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, তার বদলির আদেশ বাতিল হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন বালুচর এলাকার মানুষ।

তারা অবিলম্বে মাহফুজা খাতুনের বদলি কার্যকর করার জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা ওই বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি সোলেমান আলম।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বদলির বিষয়টি জেলা ও বিভাগীয় অফিস তদারকি করে থাকে। তাদের করার কিছুই নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ