নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, মারকেন্টাইল ও ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া ৩টি বাস এবং বিআরটিসি ভাড়া করা দুটি বাসসহ মাত্র ৫টি বাস। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নিজস্ব অর্থায়নে এখন পর্যন্ত কোনো বাস কেনা হয়নি।
শিক্ষার্থীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় গাদাগাদি করে বাসের দরজায় ঝুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। যেখানে ১টি বাসে ৫০ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সেখানে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঈমাম উদ্দীন রাসেল বলেন, বাসের দরজায় এতই শিক্ষার্থীর ভীড় থাকে যে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে ওঠা সম্ভব হয় না। অনেক কষ্টে বাসে উঠতে পারলেও বসার কোনো সুযোগ পাওয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ সময় দাঁড়িয়েই যাওয়া-আসা করতে হয়।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের ছাত্রী উপমা সাহা বলেন, বিআরটিসির ভাড়া গাড়ি গুলোর ইঞ্জিন খুবই নিম্ন মানের হওয়ায় আমাদের কাম্পাসে যাওয়া আসায় সময়ও বেশি লাগে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার তারেক রাশেদ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিআরটিসির কাছে ৪টি গাড়ির চাহিদা দিলেও তারা মাত্র ২টি গাড়ি পাঠানোর কারণেই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তিনি সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪