বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল পৌরসভার পাঠবাড়ি গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আসমা খাতুনকে (১৭) পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী শহিদুল (৩০)।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বাবা আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, শহিদুল নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসের জন্য প্রায়ই আসমাকে মারধর করতো। আমি একজন দিনমজুর। যখন যেভাবে পেরেছি তার চাহিদা মিটিয়েছি। কিন্তু বার বার শহিদুল মারধর করায় এর আগে আমি দুইবার আসমাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে গেছি। পরে শহিদুলের বাড়ির লোকজনের অনুরোধে আবার পাঠিয়েছি।
রোজার আগে সর্বশেষ আসমা নির্যাতন সহতে না পেরে আমার কাছে চলে আসে। এর পর রোজার ঈদের দুই দিন আগে শহিদুলের আত্মীয়রা আমার বাড়িতে এসে সালিশ বৈঠক করে তাকে নিয়ে যায়। এসময় তারা বলে এর পর কোনো কিছু ঘটলে তারা দায়িত্ব নেবে।
বুধবার ভোরে শহিদুলের প্রতিবেশীরা ফোন করে আমাকে জানায় আসমা মরে গেছে। পরে আমরা এসে দেখি ঘরের মধ্যে মেয়ের মৃত্যুদেহ পড়ে রয়েছে। বাড়িতে শহিদুল ও তার পরিবারের কেউ নেই।
পুলিশ জানায়, নিহত আসমার একমাত্র মেয়ে স্মৃতি (৫) জানিয়েছে, আব্বা মাকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪