ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): তোবা গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফাসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে ‘ক্ষুব্ধ শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, সামিনা সমাজবিজ্ঞানের একজন শিক্ষক ও গবেষক। সে কারণেই তোবা গামের্ন্টসকে কেন্দ্র করে মালিক-শ্রমিকপক্ষের যে দ্বন্দ্ব তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি মানবিক বোধ থেকে অনশনরত শ্রমিকদের জন্য স্যালাইন ও পানিও ছিল তার সঙ্গে।
জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
হামলার শিকার সামিনা লুৎফা বলেন, পরিচয় দেওয়ার পরও তারা অকথ্য ভাষায় আক্রমন করে লাঠিপেটা শুরু করেন। পরে সাংবাদিকরা পরিচয় জেনে আমাদের উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, একজন নাগরিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে সেখানে যাওয়াটা আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।
এদিকে গত ৬ আগস্টের ঘটনা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমালোচনা করেছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল সমিতির পক্ষ থেকে বলেন, দেরীতে হলেও আমরা সমিতির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এবং উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছে ব্যবস্থা নিতে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিভাগের শিক্ষক গোলাম রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের এ কে মনিরুদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মসিউর রহমান ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অহিদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪