ঢাকা: ছেলে ও মেয়েদের যতগুলো লড়াই বা প্রতিযোগিতা হয়, তার মধ্য অন্যতম পড়াশোনার ফলাফলে। এ নিয়ে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্য সবসময় স্নায়ুযুদ্ধ চলে।
উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে যেন তারই ইঙ্গিত মিললো। কোনো বছরে ছেলেরা এগিয়ে, আবার কোনো বছরে মেয়েরা। তবে পরীক্ষার্থীদের দিক দিয়ে বরাবর ছেলেদের সংখ্যাই বেশি। গত পাঁচ বছরে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, পাসের হারে ২০১০ ও ১১ সালে যথাক্রমে দশমিক ৭৫ ও দশমিক ১৩-তে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। অপরদিকে, মেয়েরা ২০১২ ও ১৪ সালে যথাক্রমে দশমিক ৯৬ ও ১ দশমিকে এগিয়ে। তবে ২০১৩ সালে মাত্র শূন্য দশমিক ৩-এ এগিয়ে ছিল ছেলেরা।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১০ সালে ছেলে-শিক্ষার্থী তিন লাখ ৮৬ হাজার ছয়শ ৭১ জনের মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ৮৮ হাজার পাঁচশ ৪৬ জন। আর পাসের হার ৭৪.৬২। মেয়ে-শিক্ষার্থী তিন লাখ ৩১ হাজার চারশ ১৩ জনের মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ৪৪ হাজার আটশ ২৩ জন; পাসের হার ৭৩.৮৭। মোট পাসের হার ৭৪.২৮।
২০১১ সালে ছেলে-শিক্ষার্থী চার লাখ ১৩ হাজার ছয়শ ৭৫ জনের মধ্য পাস করেছে তিন লাখ ১০ হাজার আটশ ৪৯ জন, পাসের হার ৭৫.১৪। মেয়ে-শিক্ষার্থী তিন লাখ ৫১ হাজার একশ ৫৩ জনের মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ৬৩ হাজার চারশ ১২ জন; পাসের হার ৭৫.০১। মোট পাসের হার ৭৫.০৮।
২০১২ সালে ছেলে-শিক্ষার্থী চার লাখ ৯০ হাজার নয়শ ১৮ জনের মধ্যে পাস করেছে তিন লাখ ৮৪ হাজার ৪২ জন; পাসের হার ৭৮.২৩। মেয়ে-শিক্ষার্থী চার লাখ ২৬ হাজার সাতশ ৫৫ জনের মধ্যে পাস করেছে তিন লাখ ৩৭ হাজার নয়শ ৩৭ জন; পাসের হার ৭৯.১৯। মোট পাসের হার ৭৮.৬৭।
২০১৩ সালে ছেলে-শিক্ষার্থী পাঁচ লাখ ৩০ হাজার জনের মধ্যে পাস করেছে তিন লাখ ৯৩ হাজার আটশ ৯৯ জন; পাসের হার ৭৪.৩২। মেয়ে-শিক্ষার্থী চার লাখ ৭২ হাজার চারশ ৯০ জনের মধ্যে পাস করেছে তিন লাখ ৫০ হাজার নয়শ ৯২ জন; পাসের হার ৭৪.২৯। মোট পাসের হার ৭৪.৩।
২০১৪ সালে ছেলে-শিক্ষার্থী ছয় লাখ ৮৯ জনের মধ্যে পাস করেছে চার লাখ ৬৭ হাজার দুইশ ১৪ জন; পাসের হার ৭৭.৮৬। মেয়ে-শিক্ষার্থী পাঁচ লাখ ২৯ হাজার আটশ ৮৩ জনের মধ্যে পাস করেছে চার লাখ ১৭ হাজার আটশ ৫৬ জন; পাসের হার ৭৮.৮৬। মোট পাসের হার ৭৮.৩৩।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪