ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অগ্রযাত্রার ১৩ বছর

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অগ্রযাত্রার ১৩ বছর

সিলেট: প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে রয়েছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ সময়ে ধারাবাহিক পাসের হার বেড়েছে।



তবে শুরুর দিকে কয়েক বছর পাসের হার বৃদ্ধিতে সাফল্য না আসলেও বর্তমানে দেশের অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।

সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর দু’বছরের মাথায় ২০০১ সালে এই বোর্ডের অধীনে প্রথমবারের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ২০১৩ সালে এটি ফলাফলে দেশ সেরার গৌরব লাভ করে।

এর আগে ২০১২ সালেও সারাদেশের মধ্যে পাসের হারে রেকর্ড করে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।  

তবে শুরুর দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পথচলা সুখকর ছিল না। বোর্ডের ১৩ বছরের পথচলায় ২০০৩ সালে পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম ২৭ দশমিক ৯০। আর ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাসের হার সত্তর শতাংশ ছুঁতে পারেনি। ওই বছর (২০০৭ সালে) পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এরপর ২০০৮ সাল থেকে থেকে ধারাবাহিক সাফল্য আসতে শুরু করে। ওই বছর পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ১৭। ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ দশমিক ৯৬ শতাংশে। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সিলেট শিক্ষা বোর্ডকে। ২০১০ সালে পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

তবে পরের বছর ২০১১ সালে পাসের হার নেমে যায় ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশে। কিন্তু ২০১২ সালে পাসের হারে রেকর্ড গড়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। ওই বছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৭। আর ২০১৩ সালে এই শিক্ষা বোর্ড দেশ সেরার খেতাব অর্জন করলেও পাসের হার কিছুটা নেমে যায়। ওই বছর পাসের হার ছিল  ৭৯ দশমিক ১৩।  

এদিকে, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে দু’বছর আগের রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও পাসের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ১৬তে।

বোর্ড সূত্র আরো জানায়, ২০০৬ সালে এই শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০০৫ সালে ৪৪ দশমিক ৪০ এবং ২০০৪ সালে ৪৬ দশমিক ৬৯। ২০০৩ সালে ২৭ দশমিক ৯০। ২০০২ সালে ২৮ দশমিক ৬৯। তাছাড়া ২০০১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার ছিল ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের শুরুর দিকে সিলেটবাসীর মধ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। এখনও এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও শিক্ষার ব্যাপারে মৃদু জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক অভিভাবকই চান তার সন্তান যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার সাক্ষর রাখে। শিক্ষার বিষয়টি তাদের কাছে গুরুত্ব পাওয়ায় এই বোর্ডের সাফল্যও বাড়ছে। বোর্ডের নির্দেশনায় শিক্ষকরাও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছেন বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।