ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সংস্কার হয়নি জামায়াতের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৪
সংস্কার হয়নি জামায়াতের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছবি : ফাইল ফটো

নীরফামারী: ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীলফামারীতে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার হয়নি দীর্ঘ ৬ মাসেও।

এতে স্কুলগুলোর একাডেমিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে নানাভাবে।

অনেক প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায়  বিঘ্নিত হচ্ছে লেখাপড়া।
 
স‍ূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের আগের রাত এবং ভোটের দিন অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চালায় ভোট বিরোধীরা। সহিংসতায় প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংস্কার কাজ করা হলেও বরাদ্দ না আসায় পড়ে রয়েছে কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাসহ সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ডোমার সরকারি কলেজ, ডিমলা উপজেলার সাতজান উচ্চ বিদ্যালয়, আকাশ কুড়ি দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট খাতা ফাজিল মাদ্রাসা, জলঢাকা উপজেলার পুর্ব বালাগ্রাম ছকিনীয়া বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তর দেশিবাই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বগুলাগাড়ি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে সাতজান উচ্চ বিদ্যালয়। জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় বিদ্যালয়টির কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বিজ্ঞানাগারের সরঞ্জামাদি, স্টিল ও কাঠের আলমিরা, র‌্যাক, টেবিল চেয়ার, গদির চেয়ারসহ অন্যান্য আসবাব এবং একাডেমিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে  ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।
 
এদিকে, সংস্ক‍ার না করায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ, দরজা-জানালা পুড়ে যাওয়া শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে শিক্ষকদের পাশাপাশি কষ্ট করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরও।

ডোমার সরকারি কলেজের হলরুমের ছাদ, ফ্যান, বিদ্যুৎ লাইন, টিন, দরজা, হোয়াইট বোর্ড, টেবিল চেয়ার ও বেঞ্চ ভাঙচুর হওয়ায় হলরুমে ক্লাস বন্ধ রয়েছে ঘটনার পর থেকেই। শিক্ষকরা সেখানে পড়াতে চাইলেও শিক্ষার্থীদের অনীহার কারণে হলরুমে ক্লাস হচ্ছে না কলেজটিতে।

ডোমার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোকুল চন্দ্র বাংলানিউজকে জানান, সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তিনি অবিলম্বে সংস্কার করে কলেজটিকে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানান।
 
সূত্র আরো জানায়, নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২২ লাখ ২৭ হাজার ৬৭২ টাকার চাহিদা‍পত্র দিয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালেও সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে সংস্কার কাজ করতে পারছে না দপ্তরটি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারীর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন আমরা সংস্কার কাজের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। কিন্তু অর্থ ছাড় না হওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।