ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সাদামাটা আয়োজনে ৫৪তম বাকৃবি দিবস উদযাপন

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪
সাদামাটা আয়োজনে ৫৪তম বাকৃবি দিবস উদযাপন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): প্রতিবছরের মতো এবারও সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ৫৪তম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) দিবস।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস বাস্তবায়ন উপ-কমিটির উদ্যোগে ক্যাম্পাস হেলিপ্যাড থেকে একটি র‌্যালি বের হয়।

র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক সাদা পায়রা উড়িয়ে র‌্যালি উদ্বোধন করেন।

পরে ওই মিলনায়তনে “কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস বাস্তবায়ন উপ-কমিটির সভাপতি ও বাকৃবি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক সহযোগী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক।

বাকৃবি গবেষণা সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের পক্ষে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মোমেন মিয়া।

এসময় বাকৃবি রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল ওয়াহাব ও অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে বাকৃবির ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের কৃষি উন্নয়নে সামনের দিনগুলোতেও বাকৃবি তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
BAU_University
পরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডের পাশে একটি ফলের চারা রোপণ করেন। এছাড়া তিনি এসময় বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) উদ্যোগে ফিচার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়তুল আমান মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

৫৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মাস্টার্স ও অনার্সের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন কোনো আয়োজন নেই বললেই চলে। ক্লাস বা পরীক্ষা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের যে র‌্যালিটি বের করা হয়, তাতেও অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার বলেন, পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেন স্ব স্ব অনুষদের ডিন। কবে পরীক্ষা হচ্ছে না হচ্ছে এটা ডিনরা দেখবেন।

এ ব্যাপারে কোনো ডিনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগস্ট মাস শোকের মাস হওয়ায় তেমন কোনো জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।