ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রাবাস বন্ধ

আবাসন সঙ্কটে কারমাইকেল শিক্ষার্থীরা

সাজ্জাদ বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
আবাসন সঙ্কটে কারমাইকেল শিক্ষার্থীরা ছবি : সংগৃহীত

রংপুর: গত ছয়বছর ধরে রংপুর কারমাইকেল কলেজের চারটি ছাত্রাবাস বন্ধ রয়েছে। ফলে তীব্র আবাসন সঙ্কটে ভুগছে কলেজের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী।

বাধ্য হয়েই ছাত্রদের বিভিন্ন মেসে থাকতে হচ্ছে।

কলেজটিতে বর্তমানে একাদশ শ্রেণিসহ ১৮টি বিষয়ে অনার্স ও মাষ্টার্সের নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বন্ধ থাকা এসব ছাত্রাবাসে মোট ছয় ’শ আসন রয়েছে।

জাহানারা ইমাম, বেগম রোকেয়া এবং তাপসী রাবেয়া তিনটি ছাত্রীনিবাস চালু থাকলেও নির্ধারিত ছয়’ শ ছাত্রীর জায়গায় বর্তমানে গাদাগাদি করে রয়েছে প্রায় এক হাজার ছাত্রী।

সিট স্বল্পতার কারণে সাধারণ ছাত্রীদেরও অতিরিক্ত ভাড়ায় বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে থাকতে হচ্ছে।

এদিকে কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসের চারপাশ দিয়ে গড়ে জমে উঠেছে জমজমাট ‘মেস’ ব্যবসা। আবাসন সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে মেস মালিকরা, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কারমাইকেল কলেজ শাখা সভাপতি আবু রায়হান বকসি জানান, কলেজ ছাত্রাবাসে থাকতে যেখ‍ানে একজন ছাত্রের ৪২৫ টাকার লাগে, অন্যদিকে বাইরের একটি মেসে থাকলে তার খরচ হয় এক হাজার টাকার বেশি। ফলে দ‍ূর থেকে আসা দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা সীমাহীন সমস্যায় পড়েছেন।

এসময় বন্ধ ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী আরো ছাত্রাবাস নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রশিবিরের সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওসমানী, জিএল, কেবি ও সিএম চারটি ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ দাস।

কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, কলেজ ছাত্রাবাসগুলোতে ছাত্র শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের কারণে তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলনায় ছাত্রাবাস এবং আসন সংখ্যা খুবই অপ্রতুল হওয়ায় দীর্ঘ দিন থেকে বন্ধ ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন দাবি জানিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিনতে হুসাইন নাসরিন বানু বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যেন কলেজ ছাত্রাবাসে থাকতে পারে সে বিষয়টি বিবেচন‍া করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। খুব তাড়াতাড়ি একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের জন্য প্রথমে জিএল ছাত্রাবাস খুলে দেওয়‍া হবে এবং মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।

পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা বাকি ছাত্রবাসগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী নতুন ছাত্রাবাসও নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘন্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।