ঢাকা: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে মারধর এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগে ১৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরমধ্যে তিনজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুনর রশীদ।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির লিয়াজো অফিসে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত হয়।
হারুনর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী রেজিস্ট্রারকে মারধরের অভিযোগে তিন ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার ছাড়াও ভাঙচুরের জন্য চারজনের প্রত্যেককে দুই বছর এবং বাকী নয় জনকে এক বছর করে বহিষ্কার করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবিতে অবরোধের সময় ৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সহকারী রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপকে মারধর এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় আহত সহকারী রেজিস্ট্রারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
বরিশালের স্থানীয় একটি পত্রিকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জামায়াত-শিবিরপন্থি এবং শিক্ষকদের প্ররোচণায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই সময় অভিযোগ করেন, বাহাউদ্দিন গোলাপ ওই সংবাদ প্রকাশে ইন্ধন দিয়েছিল।
এ বছরের ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিলেন।
হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা গঠিত তদন্ত হামলাকারী ১৬ জন ছাত্রকে চিহ্নিত করে ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিদেবন দাখিল করে।
তদন্ত কমিটি ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করেন বলে জানান উপাচার্য। অভিযুক্ত ছাত্ররা নিজেরাও হামলার কথা স্বীকার করেছে। কমিটির সুপারিশের আলোকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতদের তাৎক্ষণিকভাবে নাম না জানাতে পারলেও উপাচার্য বলেন, স্থায়ী বহিষ্কৃতরা দ্বিতীয় ও তৃতীয়বর্ষের ছাত্র। তারা নিজেরা মারধর করেছে বলে ভিডিওতে দেখা গেছে।
বাকীরা যারা ভাঙচুর করেছে, এরা প্রথম থেকে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
রাজধানীর কলাবাগানে লিয়াজো অফিসে অনুষ্ঠিত ওই সিন্ডিকেট সভায় ১৩ সদস্যের মধ্যে ১১ জন অংশ নেন বলে জানান উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪