ঢাকা: জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হারে হিসেবে ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থীরা সমানে সমানে এগিয়েছে। এবার মোট পাস করা ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৭।
অন্যদিকে এবার মেয়ে শিক্ষার্থী পাস করেছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৫ জন। যা শতকরা হিসেবে ৯০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জেএসসি ও জেডেসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
গত বছর ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ ছেলে এবং ৮৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাস করে। এবার জেএসসি-জেডিসি মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ছাড়া জেএসসি পরীক্ষায় এই পাসের হার ৮৯ দশমিক৮৫ শতাংশ।
সব বোর্ডের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বোর্ডের পাস করা ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবধান সামান্য। এবার ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বোর্ডে উত্তীর্ণ মেয়ে শিক্ষার্থী ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৪ জন, যা শতকরা ৮৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
মেয়েদের তুলনায় ঢাকা বোর্ডে ছেলে শিক্ষার্থীরা সামান্য এগিয়েছে। এ সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৪ জন, যা শতকরা ৮৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।
তবে রাজশাহী বোর্ডে ছেলে ও মেয়েদের পাসের হারের ব্যবধান খুবই সামান্য। এ বোর্ডে ছেলে শিক্ষার্থী পাস করেছে ৯৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যা সংখ্যায় ৯৩ হাজার ৫৯৪।
অন্যদিকে রাজশাহী বোর্ডে ৯৭ হাজার ৫৩৬ জন ছাত্রী পাস করেছে, যা শতকরা ৯৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বোর্ডে মেয়েরা এগিয়েছে।
এবার জেএসসিতে পাসের হারে সব বোর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে ৯৪ হাজার ৪৬৬ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, যা শতকরা ৯৭ দশমিক ৯২। বরিশাল বোর্ডে ৪৫ হাজার ৬৮৫ জন ছাত্র এবং ৪৮ হাজার ৭৮১ জন ছাত্রী পাস করেছে।
৯৫.৩২ শতাংশ পাসের নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট বা জেডিসি পরীক্ষায় ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ পাশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে মাদ্রাসা বোর্ড।
এ বোর্ডে মোট পাশ করা মেয়ে শিক্ষার্থী এক লাখ ৫২ হাজার ৮১৭ জন, যা শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। উত্তীর্ণ ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৮ জন। শতকরা হিসেবে ৯৩.৬৬, যা মেয়ে শিক্ষার্থীদের খুব কাছাকাছি।
গত বছর মাদ্রাসা বোর্ডে মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৬ জন। যা শতকরা ৯১.১১ শতাংশ।
এছাড়া ফলাফল বিপর্যয়ে দেখায় অন্যান্য বোর্ডেও ছেলে মেয়ের পাসের এই পার্থক্য খুবই সামান্য।
কুমিল্লা বোর্ডে এক লাখ ১৮ হাজার ৫৩২ জন (শতকরা ৯৩) ছাত্রী এবং ৯০ হাজার ৯১৪ জন (শতকরা ৯৪.৭৫) ছাত্র পাস করেছে। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০.৪৫ শতাংশ।
যশোর বোর্ডে পাস করা এক লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে এবং মেয়ে শিক্ষার্থী যথাক্রমে ৮৪ হাজার ৭২৬ (৯১.৯৭ শতাংশ) এবং ৮৮ হাজার ৮৭৩ (৯১.৯৪ শতাংশ)। এই বোর্ডেও মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীদের শতকরা হিসেবে পার্থক্য খুব বেশি নয়।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এক লাখ ২৬ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এরমধ্যে ৫৮ হাজার ৭১২ জন ছেলে এবং ৬৮ হাজার ২৪২ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।
এদের শতকরা হিসেবে যথাক্রমে ৮৬.১৬ এবং ৮২. ২৯। গত বছর এই বোর্ডে উত্তীর্ণ হয় ৫৩ হাজার ৬৮৭ জন ছেলে এবং ৬৫ হাজার ২০০ জন মেয়ে। এর শতকরা পরিমাণ ছিল ৮৭.৩৭ এবং ৮৫. ১৬।
সিলেটে শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পাস করা শিক্ষার্থী এক লাখ ২৫৫ জন, শতকরা ৯১.৫৭। এদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৪৪ হাজার ১০২ জন (৯২.৩৮ শতাংশ) এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৫৬ হাজার ১৫৩ জন (৯১.৭২ শতাংশ)।
গত বছর সিলেট বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় পাস করে শতকরা ৯১.১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এবছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পাস করেছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৮১০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৮৫ হাজার ৯৪২জন (৮৯.৭২ শতাংশ) এবং মেয়ে ৮৯ হাজার ৮৬৮ জন (৯০.৪৭ শতাংশ)।
গত বছর এই বোর্ডে এক লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী (৮৮.৯১ শতাংশ) পাস করে।
বিআইএসই বোর্ডে এবার পাস করেছে শতকরা ৮৯.৮৫ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯ জন (৯০.২৮ শতাংশ) এবং মেয়ের সংখ্যা ৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৬৮ জন (৮৯.৪৮ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪