পাবনা: পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে শিবলী (৩০), প্রিন্স (২৮), এলিন (২২), রনি (২৬), মজিব (২৫), প্রিন্স (৩০), রাজিব (২৭), আশরাফুল (২৬), আবির (৩০), মামুন (২৮), রাজিব (৩১), জুন্নুনকে (২৬) গুরুতর অবস্থায় পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া সাব্বির (৩০) নামে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে অহরহ ছিনতাই, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম সংঘটিত হয়ে আসছে। এ নিয়ে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান গ্রুপের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনিক গ্রুপের বিরোধ ছিল। সম্প্রতি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এসব অপকর্মের অভিযোগ এনে পাশ্ববর্তী বাসিন্দারা অনিক গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেয়।
এরই জের ধরে বিকেলে বিরোধ মীমাংসার জন্য পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুমনসহ কয়েকজন ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে যান।
এ সময় স্থানীয় জনতা ও কিছু ছাত্র তাদের ওপর হামলা করে মারধর শুরু করে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
সংঘর্ষে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ, প্রিন্স, আলিয়া মাদরাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এলিনসহ ২০ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ছাত্রলীগ নেতাদের ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুমনের অভিযোগ, তারা দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করতে গেলে শিবির কর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রলীগ, সাধারন ছাত্র ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫