ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির আহমেদের দ্বিতীয় বই ‘অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড দ্য পাবলিক স্ফেয়ার ইন বাংলাদেশ’এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোসাইটি ফর অ্যানথ্রোপলজিক্যাল রিসার্চ বাংলাদেশের (সার্ব) দ্বিতীয় প্রকাশনা হিসেবে বইটি প্রকাশ করে।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির এক রেস্টুরেন্টে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. হেলাল উদ্দিন খান শামসুল আরেফিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও সার্বের গবেষক মুজিবুল আনাম লাবীবের সঞ্চালনায় মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচনায় বক্তরা বলেন, অধ্যাপক জহির আহমেদ জনপরিসরে নৃবিজ্ঞান চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন বোঝাপড়ায় নৃবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি এদেশের নৃবিজ্ঞান চর্চাকে অন্য মাত্রায় উপস্থাপন করে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, ইংরেজি ভাষার এ বইটি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে অধ্যাপক জহিরের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ১৬ টি প্রবন্ধ দিয়ে সাজানো হয়েছে। একজন নৃবিজ্ঞানী হিসেবে লেখকের বহুবছরের গবেষণার ফল ওই বইটি। বইটির আলোচিত ইস্যুগুলোর বৈচিত্র্য পাঠককে দেবে চিন্তার নতুন ক্ষেত্র।
বইটিতে খনি নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে শুরু করে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, চট্টগ্রাম বন্দর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও ডায়াস্পোরিক চেতনা, দারিদ্র্যের স্বরূপ, বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য, গার্মেন্টস শিল্প, শাহবাগ আন্দোলন কেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এর রাজনীতিকীকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে বক্তরা জানান।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া গুজবের সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাসহ বৈচিত্রময় বিশ্লেষণ- এই বইটির আবেদন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা সার্ব।
কিছু উদ্যমী তরুণ গবেষকের প্রচেষ্টায় ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সোসাইটি ফর অ্যানথ্রোপলজিক্যাল রিসার্চ বাংলাদেশ (সার্ব)।
২০১৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় সার্বের প্রথম প্রকাশনা হিসেবে অধ্যাপক জহির আহমেদ সম্পাদিত ‘নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমকালীন বাংলাদেশ’ বইটি নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সমাজ গবেষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে বলে আলোচকরা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫