ঢাকা: যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিশেষ অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষার দিক থেকে দেশ এগিয়ে গেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তাই উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তৈরির এই চ্যালেঞ্জটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই নিতে হবে।
শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আপনাদের দাবি থাকবে। তবে দাবির কারণে শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু দাবি করলেই হবে না, যা পেয়েছেন এর বিনিময়ে কী দিয়েছেন এটাও মিলিয়ে দেখবেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৬ হাজার ১শ’ ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করতে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ৫শ’ বিদ্যালয়ের কাগজপত্রের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোকেও পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।
আলোচনা ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ’র পক্ষ থেকে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের একধাপ নিচে (১২তম গ্রেড) বেতন স্কেল দেওয়া, সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিতে শিক্ষাগতা যোগ্যতা এক থাকায় উভয় পদকে একই শ্রেণিভুক্ত করতে হবে।
সংগঠনটির ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তপন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক এইচ বি এম আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তন্বী রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশসময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫