রাবি(রাজশাহী): প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হতে চলছে। রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন।
অবরোধের হাওয়া উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তায় রঙ তুলিতে আল্পনা আকঁতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। মোড়ে মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে সমাবর্তনের রঙ-বেরঙের ব্যনার। ক্যাম্পাসজুড়ে করা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন। সমাবর্তনকে ঘিরে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে মতিহারের সবুজ চত্বরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামের ভেতরে ঝাঁকঝকমভাবে সাজানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরের গ্যালারিতে চুনকাম করা হয়েছে, গ্যালারি সব দিকে বিভিন্নভাবে সাঁজানো হয়েছে।
স্টেডিয়ামের ভেতরে পূর্বপার্শ্বে করা তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। স্টেডিয়ামের বাহিরে প্রধান গেটটির নামফলক নতুনভাবে লাগানো হয়েছে।
বাইরের বিভিন্ন সড়ক ও সড়কের আশেপাশের স্থাপনা সংস্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এবং নামফলকসহ ভবনটির ভেতরেও করা হচ্ছে সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ মিনার, গোল্ডন জুবেরী টাওয়ারসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে করা হয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। এতে করে নতুন রূপে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজেট অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ হয়েছে। সমাবর্তনে গ্রাজুয়েটরা নতুনরূপে দেখতে পাবে এই ক্যাম্পাসকে। ’ সৌন্দর্যবর্ধনসহ সব আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তনে মোট ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রাবির সমাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সড়কে নিয়মিত প্রশাসনের গাড়ি বহর যাতায়াত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গেছে, এবারের সমাবর্তনে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীরা অংশগ্রণের সুযোগ পাচ্ছেন।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। এতে সমাবর্তন বক্তা থাকবেন দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তালাত আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫