গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: শিক্ষার্থী সংকটে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ। মাত্র ২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করেছে কলেজটি।
শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণ হিসেবে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. লায়লা পারভীন বানু বাংলানিউজকে বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০ করার কারণে আমাদের এ অবস্থা। সরকার যদি পাস নম্বর কিছুটা কমায় তবে আমরা আরও কিছু শিক্ষার্থী পাবো। কারণ আমাদের লেখাপড়া বিশ্বমানের, খরচও তুলনামূলক কম। যেখানে বেশিরভাগ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফি প্রায় ১৪ লাখ, সেখানে আমাদের ফি মাত্র ৭ লাখ টাকা।
তবে আর শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়েও সংকটে পড়ার আশংকাও করেন তিনি।
প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, ৬৩টি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ছয় হাজার ৩৬০ আসনের মধ্যে বেশিরভাগ আসন খালি রয়েছে। মাত্র কয়েকটা মেডিকেলে ভর্তির কোটা পূরণ হয়েছে।
আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছেনা- এই কারণ দেখিয়ে ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ করার দাবি জানিয়ে আসছে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। পাস নম্বর না কমালে ছাত্র সঙ্কটে ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
তবে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল শিক্ষার মান নিয়ে কোন আপস করা চলবে না। নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ডের নিচে নেমে মেডিকেল শিক্ষাকে কোনভাবেই ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পাস নম্বর ৪০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫