ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২২ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে সরকারি ল্যাপটপ-মডেম-প্রজেক্টর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
২২ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে সরকারি ল্যাপটপ-মডেম-প্রজেক্টর ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দেয়ার পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ১৫ শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিশ হাজার ৫শ’ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর এবং ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করেছে সরকার।

শিক্ষাখাতে তথ্য প্রযুক্তি-উদ্যোগ বিষয়ক ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি।



শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে “ম্যাপিং আইসিটি ইন এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির, ‘একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর অনীর চৌধুরী’, ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর পরিচালক (শিক্ষা) এলিজাবেথ পিয়ারসি ও গবেষক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ সরবরাহ করেছে। ইতিমধ্যে দেশের ১৫‘শ ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিশ হাজার ৫’শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর এবং ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করেছে সরকার।

তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার অভাব নেই। অভাব শুধু মানসম্পন্ন শিক্ষার। এটা দূর করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও অনেক স্বচ্ছ হচ্ছে। আসলে এটা সময়ের ব্যাপার। দরকার কোয়ালিটি শিক্ষকের। আর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে ১৩ পিটিআই প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।  

‘একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম’ এর পলিসি অ্যাডভাইজর অনীর চৌধুরী বলেন,চলতি বছরেই দেশের সকল পিটিআই ও টিটিসিতে ইন্টারনেট কানেকশন পৌঁছে যাবে। যদিও সারাদেশের স্কুলগুলোতে এটা যেতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। তবে ২/১ বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছে যাবে।

‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলেক্ট্রনিক কনটেন্ট তৈরি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল তৈরি, শিক্ষকদের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য স্থাপিত কমিউনিটি শিক্ষাকেন্দ্রে সীমিত পরিসরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে শিক্ষায় সরকার, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং ব্যক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য প্রযুক্তির উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।