ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ

অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৫
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড়

ময়মনসিংহ: জেলার শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৫ জানুয়ারি ‘অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেয়নি শম্ভুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।



শনিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এ ঘটনায় দু’পক্ষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চরম উত্তেজনা।
        
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসির ফরম পূরণে ১৯৮ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য।

পরে এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক জমির উদ্দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ‌বতন মহলে লিখিত অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত অর্থ হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ফেরত না দেওয়ায়       বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর সংবাদকে ভিত্তি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগটি আমলে নেয়।

একইসঙ্গে কেন বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে না সে মর্মে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

এ নোটিশ পেয়ে বেকায়দায় পড়ে যান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র সরকার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
     
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অপর এক সদস্য জুয়েল আকন্দ অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতের কেলেঙ্কারি ঢাকতে শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) রাতের অন্ধকারে অফিস কক্ষের বাইরে তালা দিয়ে ভেতরে গোপন বৈঠক করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য।

এ সংবাদ পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে তারা দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন বলেও জানান তিনি।
   
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে শনিবার  (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জুয়েল আকন্দের বিচার দাবি করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শম্ভুগঞ্জ বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছেন প্রধান শিক্ষক।
  
তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে জুয়েল আকন্দ বলেন, রাতের অন্ধকারে গোপন বৈঠক আমি হাতে-নাতে ধরে ফেলায় প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র সরকার পরিকল্পিতভাবে এ লাঞ্ছনার নাটক সাজিয়েছে।   
 
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে এর বিচার দাবিতে শনিবার দুপুরে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের সামনে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, মোসলেম উদ্দিন, আনোয়ারুল কাদের রতন, অভিভাবক শফিকুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, রাজীব, আলম মিয়াসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্থ আত্মসাত কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচার জন্য শিক্ষক লাঞ্ছনার নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুজ্জমান সোহেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।