ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবিতে দুই পক্ষের হাতাহাতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
বেরোবিতে দুই পক্ষের হাতাহাতি

রংপুর: রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও উপাচার্যের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের সময় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  

সোমবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসে  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিরোধী   শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে সোমবার সকাল থেকে অনিদির্ষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। এ সময় তারা চারটি একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।

এদিকে উপাচার্যের পক্ষের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার দিকে কবি হায়াত মাহমুদ একাডেমিক ভবনের তালা ভেঙ্গে ফেলে। এক পর্যায়ে সেখানে উভয় দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় শিক্ষকদের দুটি দল সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে নীরব ভূমিকা পালন করে।

একাডেমিক ভবনে ক্লাস নিতে না পেরে অনেক শিক্ষক খোলা মাঠে ক্লাস নেন।

এদিকে শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।

ধর্মঘটের পক্ষ নেওয়া শিক্ষক নেতা ড. আর এম হাফিজুর রহমানের দাবি, অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা পরীক্ষা গ্রহণ, ছাত্রদের আবাসিক হল চালু, ক্যাফেটেরিয়া চালু এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুরুন্নবীকে অপসারণ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে। এ কারণে গতকাল সকাল থেকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান উপাচার্য থাকা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ড. আর এম হাফিজুর রহমান।

নীল দলের সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ জানান, প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিরসণে যতটুক সম্ভব ক্লাস চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুরুন্নবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করে ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করে কেউই লাভবান হয় না। সংকট নিরসনে আলোচনার বিকল্প নেই। ‍
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।