ঢাকা: জাপান অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে রোবটিকসে স্কলারশিপ পেয়েছেন বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার ফারহান ফেরদৌস।
জাপানের বাইরে বিদেশি কোনো শিক্ষার্থীকে এই প্রথম রোবটিকসে স্কলারশিপ করা সুযোগ দেওয়া হলো ইনস্টিটিউটটিতে।
সাতক্ষীরায় জন্ম নেওয়া ইঞ্জিনিয়ার ফারহান ফেরদৌসের বাবা মো. আব্দুর রউফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং মা নাসিমা সুলতানা একজন লেখিকা।
ছোটবেলা থেকেই জানার আগ্রহ প্রবল থাকায় নতুন কিছু নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা জাগে ফারহান ফেরদৌসের মধ্যে। সে কারণে তিনি রাজধানীর নিউমডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন সরকারি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সেখান তিনি মেকানিক্যাল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করেন। সেখানকার পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তিনি ৩য় স্থান অর্জন করেন।
এরপর তিনি বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বিএসসি-ইন-মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন। বিএসসিতে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ডিজাইন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন অব এ লাইট ডিটেকটিং অ্যান্ড অবস্টাকল সেন্সিং রোবট’।
এই রোবট এক ধরনের ছোটগাড়ি, যাতে প্রধানত মাইক্রো-কন্ট্রোলার, লাইট সেন্সর এবং আল্ট্রাসনিক সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এই রোবটগাড়ি চলতে থাকা অবস্থায় তার সামনে কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা যে কোনো ধরনের বাধা পেলে এমনিতেই থেমে যাবে। এছাড়াও রোবটটির ওপরে কোনো হাইডেন্সিটির আলো দিলেও তা থেমে যায়।
এদিকে, বিএসসি পাস করার পর ফারহান ফেরদৌস উত্তরা মোটরস লিমিটেডে টেকনিক্যাল অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, আমরা টেকনোলজি লিমিটেডে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার এবং সোহাগ মোটরস লিমিটেডে মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদে পাঁচ বছর চাকরি করেন।
ইতোমধ্যে, তিনি বিভিন্ন দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য আবেদন করেন। এর উত্তরে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাপান অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফারহানের গবেষণাপত্রে খুশি হয়ে তাকে বৃত্তি প্রদানে সম্মত হয়।
তিনি মূলত সেখানে ‘রোবটিক অ্যান্ড কন্ট্রোল ডায়নামিক’ বিষয়ে তিন মাস গবেষণা করার বৃত্তি পেয়েছেন। তার গবেষণাপত্রের শিরোনাম- ‘ডিজাইন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন অব এ লাইট ডিটেকটিং অ্যান্ড অবস্টাকল সেন্সিং রোবট’।
ইঞ্জিনিয়ার ফারহান ফেরদৌস আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫