ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

৪ তারিখের এসএসসি পরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
৪ তারিখের এসএসসি পরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে আবারও হরতাল দেওয়ায় মাধ্যমিকের (এসএসসি) দ্বিতীয় দিনের (বুধবার-০৪ ফেব্রুয়ারি) ছয়টি পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে।

এসব পরীক্ষা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।



৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

মাদ্রাসা বোর্ডে ছিল হাদীস শরীফ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি-২ (১৯২২) এবং ইংরেজি-২ (৮১২২) পরীক্ষা।

অবরোধের মধ্যে ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল বাড়িয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

নতুন করে ফের হরতাল দেওয়ার পর সচিবালয়ে জরুরি সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খুবই দুঃখিত। আশা করেছিলাম পরীক্ষার দিনটিতে আর হরতাল দেবে না। কিন্তু তারা (২০ দল) শোনলো না। কিছুক্ষণ আগেই জানতে পারলাম বিএনপি এবং সহযোগী দলগুলো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

‘আমরা দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারলাম না’—বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, হরতালে তাদের (শিক্ষার্থী) শুধু পরীক্ষাই পেছাল না, মন-মানসিকতায়ও বহু বছর এর প্রভাব থাকবে।

এ নেতিবাচক প্রভাবে বর্তমান জেনারেশনের ভবিষ্যত দুর্বল হবে বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার সময় কর্মসূচি না দিতে খালেদার প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ারও সহযোগিতা চাচ্ছি, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য। আশা করছি- উনি (খালেদা জিয়া) বলবেন, পরীক্ষার সময় আর বিরক্ত করবো না, বাকি পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে দাও।

ফের হরতাল দিলে পরীক্ষার কী হবে- এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনুমান ভিত্তিক কিছু বলা ঠিক হবে না। যে পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার বিকল্প ভাবুন। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বাধাগ্রস্ত করবেন না।

অবরোধে পরীক্ষা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিষয়টি স্পস্ট না করে নাহিদ বলেন, আশা করি শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হবে না। এতে মানুষও খুশি হবেন।

বিভিন্ন মহল থেকে পাবলিক পরীক্ষার সময় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বানের মধ্যেও হরতাল-অবরোধ পালন করছে সরকার বিরোধী জোট ২০ দল।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে সভা করতে না পেরে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির হরতাল-অবরোধের কারণে ওই দিনের ছয়টি পরীক্ষা পিছিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়।

এরপর ফের দুইদিনের হরতাল ঘোষণা করায় বুধবারের পরীক্ষা পিছিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

২০১৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী।

এর আগে ২০১৩ সালেও বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতালে এরআগেও পাবলিক পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটে। ওই বছর এসএসসির ৩৭টি এবং এইচএসসির ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।

পেছানো হয় একই বছরের জেএসসি-জেডিসির ১৭টি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর দুটি বিষয়ের পরীক্ষাও।

এছাড়া ২০১৪ সালের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও বিএনপির হরতালের কবলে পড়ে। জেএসসি-জেডিসির চার দিনের ৯টি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্তর ছিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

** বুধবারের এসএসসি পরীক্ষা: সংবাদ সম্মেলন ৪টায়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।