ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

এক ঘণ্টা আগে ছাপা হবে প্রশ্নপত্র

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
এক ঘণ্টা আগে ছাপা হবে প্রশ্নপত্র

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  
 
প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়ানো এবং খরচ বাঁচাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।


 
সর্বশেষ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি’ গঠন করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
স্বল্প সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি ও বিতরণের জন্য কমিটি কয়েকটি সভা করে তা চূড়ান্ত করেছে।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগের রাতে ১০ সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওয়ানটাইম পার্সওয়ার্ড দিয়ে পরীক্ষার ৩/৪ ঘণ্টা আগে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিসে পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৃথক দুটি পাসওয়ার্ড ছাড়া তা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে ডাউনলোড করা যাবে না।  
 
জেলা প্রশাসক অফিস থেকে প্রশ্নপত্র এক ঘণ্টা আগে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসক অফিসে সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো কার‌্যক্রম মনিটরিং করা হবে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ থাকবে না।
 
মো. আলমগীর আরও বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বিজিপ্রেসে ছাপিয়ে ট্রাঙ্কে ভরে ট্রাকে করে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে পাঠাতে হয়।  
 
ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ করে বিভাগওয়ারি পৃথক পৃথক দিনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
 
মো. আলমগীর আরও বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট পেলে পরীক্ষার দিন চূড়ান্ত করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
 
ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন তৈরি করে পাঠালে পরিবহন ও নিরাপত্তা খরচ বাঁচার পাশাপাশি সময়ও কম লাগবে বলে জানান ডিজি।  
 
তবে চূড়ান্তভাবে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার আগে মক ট্রায়েল দেওয়া হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।
 
দু’টি বিজ্ঞপ্তির আওতায় বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে।
 
প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় এ বিজ্ঞপ্তির আলোকে অস্থায়ীভাবে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
 
এছাড়াও গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, এতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ পাবেন।
 
এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে পরীক্ষা দু’টি নেওয়া হতে পারে বলেও জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।