রাবি (রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলে পরিবেশন করা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অন্তত ১৫ ছাত্রী অসুস্থ হয়েছেন।
শনিবার রাতে এবং রোববার সকালে হল ডায়নিংয়ে পরিবেশিত খাবার খেয়ে এসব ছাত্রী অসুস্থ হন।
এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে রোববার এক ছাত্রী ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।
হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী বাংলানিউজকে জানান, শনিবার রাতে এবং রোববার সকালে হলের ডায়নিংয়ে পরিবেশিত খাবার খেয়ে অন্তত ১৫ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম আকতার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অর্নিয়া, চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের মনিরা সুলতানা, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের রহিমা খাতুন, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার মৌ, পরিসংখ্যানের আইরিন সুলতানা, ক্রপ সায়েন্স বিভাগের অখি আকতার, সমাজবিজ্ঞানের সাবিনা আকতার, প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রিয়ঙ্কা, মনোবিজ্ঞানের হাসনা হেনা।
এর মধ্যে মরিয়ম আকতার, অর্নিয়া এবং মনিরা সুলাতনা গুরুতর অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে মরিয়ম আকতার রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।
হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, হল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ডায়নিংয়ে প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর বাসি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। যার কারণে ছাত্রীরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, হলের ডায়নিংয়ে অস্বাস্থ্যকার খাবার পরিবেশনের ব্যাপারে হল কর্তৃপক্ষকে জানালো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেন নি। গত ২৬ মার্চ সকালে হলের পক্ষ থেকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার পরে ছাত্রীদের মাঝে পরিবেশন করেন ডায়নিং কর্মচারীরা। ওই খাবার খেয়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়েছিলেন।
হলের ছাত্রীরা জানান, হলে একটি সবজির দোকান আছে, সারাদিন বিক্রির পর সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া উচ্ছিষ্ট সবজিগুলো পরদিন ডায়নিংয়ের খাবারের জন্য রান্না করা হয়। এমন নিম্নমানের খাবারের ব্যাপারে অভিযোগ করেও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দিলরুবা আখতার বানু বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা এক্সেডেন্টলি হয়েছে। শোনামাত্র ছাত্রীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই এখন সুস্থ। আমি খাবার মান ভালো রাখার ব্যাপারে ডায়নিংয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আর যাতে এমন না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫