ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এএম আমজাদের অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।



যৌন নিপীড়নকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বর্বর যৌন নির্যাতন ও দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অপসারণের দাবি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান তারেক বলেন, ওই ঘটনার সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন,খেতাব কুড়িয়েছেন মিথ্যাবাদী হিসেবে।

এমন মিথ্যাচারী প্রক্টর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে তো নয়ই, শিক্ষক হিসেবেও থাকার নৈতিক অধিকার রাখেন না। তাই দায়িত্ব পালনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ-মিথ্যাচারী প্রক্টরের অপসারণ চাই।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঘটনার দিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কয়েকজন নিপীড়ককে আটক করে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের হাতে সোপর্দ করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। নিপীড়কদের কেন ছেড়ে দেওয়া হলো, সে ব্যাখ্যা আপামর ছাত্র সমাজ ও দেশবাসী জানতে চায়।

দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে হাসান তারেক বলেন, রোববার (১৯ এপ্রিল) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশের কর্মসূচি পালন করতেও নিষেধ করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন নিপীড়কদের বাঁচাতে পুলিশ এমন তৎপর?

অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-কর্তব্যরত পুলিশের ধারাবাহিক অবহেলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ও কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়াও উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং বাসস্থল-শিক্ষাঙ্গন-কর্মস্থলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জাতীয়ভাবে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে পববর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাসান তারেক। এর মধ্যে রয়েছে রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ, ২০ এপ্রিল সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন এবং ২১ এপ্রিল সকাল ১১টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাহ তন্ময়, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাশ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দীপক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ সহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এসএন/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।