ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় শেকৃবি শিক্ষকের কুশপুত‍ুল দাহ

শেকৃবি করেস্পন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় শেকৃবি শিক্ষকের কুশপুত‍ুল দাহ

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরফান আলীর কুশপুতুল পুড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষকের কুশপুতুল পোড়ানো হয়।



বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, পহেলা বৈশাখে টিএসসি মোড়ে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করেন বিভিন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা । এখবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ছবি সহকারে আসে। এমনই একটি ছবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ওরফে মাল্টি মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এসময় সেই স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে একটি কমেন্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক।
 
ওই কটূক্তির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঐ শিক্ষকের কুশপুত‍ুল পোড়ায়। এরপর তারা উপাচার্য অধ্যাপক শাদাত উল্লা বরাবর ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন। মিছিল চলাকালীন সময়ে ঐ শিক্ষকের কক্ষের সামনে ঝুলানো নামফলক ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ।

অভিযুক্ত শিক্ষক আরফান আলী ফেসবুকে সোমবার (২০ এপ্রিল) আবার নতুন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেন, তার আইডি( ফেসবুক একাউন্ট ) গত ১৩ এপ্রিল হ্যাক করা হয়েছিল। যা তিনি গত সোমবার রাতে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন। হ্যাককৃত সময়ে তার আইডির মাধ্যমে করা এ কুরুচিপূর্ণ  মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান।  

অপরদিকে আরফান আলীর করা এই মন্তব্যে লাইক দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার রাত দুইটার দিকে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে হল থেকে বের করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য শাদাত উল্লা জানান, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য সত্যিই খুবই লজ্জাজনক। এ ধরনের মন্তব্য করা শিক্ষকের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবে প্রশাসন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক সেকেন্দার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।