ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জবি শিক্ষিকা লাঞ্ছনাকারীর বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
জবি শিক্ষিকা লাঞ্ছনাকারীর বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরজ মিয়ার ছাত্রত্ব বাতিলসহ স্থায়ী বহিষ্কার করতে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।


 
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
 
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আরজ মিয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার ছাত্রত্ব বাতিল কতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসমা বিনতে ইকবাল।
 
এদিকে একই দাবিতে বেলা ১২টার দিকে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে পুরো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, বর্ষবরণ উৎসবে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে যখন দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলছে তখনই, জগন্নাথে একজন শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হল।

শিক্ষককে লাঞ্ছনাকারী আরজ মিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

গত রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষিকাকে পথরোধ করে প্রথমে ধাক্কা, পরে কাপড় ধরে টানাটানি এবং চড় মারেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরজ মিয়া (জিয়া)। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আরজ মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করলেও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫ ইং
আইএএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।