ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে দীর্ঘ হচ্ছে সেমিস্টার

মহিবুল আলম সবুজ, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
শেকৃবিতে দীর্ঘ হচ্ছে সেমিস্টার

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি): শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (শেকৃবি) সেশনজট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবল হতাশা বিরাজ করছে।

সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ হচ্ছে সেমিস্টারও।

আর এর সঙ্গে গবেষণাগার,শ্রেণিকক্ষ আর আবাসনসহ নানা সংকট তো রয়েছেই।  

শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি সেশনজট রয়েছে কৃষি অনুষদে। অনুষদে ৭৩ ও ৭৪তম ব্যাচ একই সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে।

এছাড়া চতুর্থ বর্ষ প্রায় পাঁচ মাস, তৃতীয় বর্ষ চার মাস, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাসের সেশনজটে আটকে আছেন।

তবে সেশনজট সৃষ্টির কারণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা পরস্পরকে দায়ী করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতি সেমিস্টারে শুরুর দিকে কিছু বিভাগে ক্লাস ঠিক মতো না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ হয় না। আর এতেই সেশনজট বাড়ছে।

কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত মুরাদুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও স্নাতক পরীক্ষার কোনো খবর নেই।

এভাবে চললে আরও তিন-চারমাসের শিক্ষাজট সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজিজুর রহমান মজুমদার  বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সঠিক সময়ে না নেওয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রধান কারণ।

‘প্রতি সেমিস্টারে আমাদের ন্যূনতম চারমাস ক্লাস নিতে হয়। তবে কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস শেষ করতে সময় লেগে যায়। কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা দেরিতে শেষ হয়,’ যোগ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কৃষি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদেও রয়েছে শিক্ষাজট। এ অনুষদের প্রত্যেক ব্যাচে পাঁচ মাসের জট রয়েছে।  

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী এম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে ক্লাস টেস্ট দিচ্ছে না।

‘অহেতুক পরীক্ষা পেছানোর জন্যই সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে’ বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।