ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শুরুতে চিহ্নিত হলে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
শুরুতে চিহ্নিত হলে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য ফাইল ফটো

ঢাকা: শুরুতে চিহ্নিত হলে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। যথাসময়ে স্ক্রিনিং, ভায়া টেস্টে প্রাপ্ত পজেটিভ রোগীদের চিকিৎসা ও পরবর্তী ফলোআপ নিশ্চিত করা, এ রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু হার উভয়ই কমানো সম্ভব।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘এস্টাবলিসমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিং’ প্রকল্পের কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশে মহিলাদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারে মৃত্যুহার ইতোমধ্যে অনেক কমে এসেছে।

সোমবার (২২ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউ’র ডি ব্লকের আইএনএম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন স্ক্রিনিং অ্যান্ড ডিটেকশন অব সার্ভিক্যাল প্রিক্যান্সার এ দি কমিউনিটি লেভেল’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ’র অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ, এশিয়া ওশানিয়া রিসার্চ অর্গানাইজেশন অন জেনিটাল ইনফেকশনস অ্যান্ড নিওপ্লাসিয়া ও সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. সাহলা খাতুন, ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের (বর্তমান বিএসএমএমইউ) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম টি এ চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিজি (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডা. নীরজা ভাটলা, ডা. দীপান্বিতা ব্যানার্জী প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী। কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন ‘এস্টাবলিসমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিং’ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা। কর্মশালায় প্রায় অর্ধশত চিকিৎসক ও নার্স অংশ নেন।   

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছরে উন্নয়নের দিক থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও বেশি এগিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়নের পথে অন্যতম সমস্যা বা অন্তরায় হলো সুষ্ঠু ম্যানেজমেন্টের অভাব। এ কথা স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্যও প্রযোজ্য। শক্তিশালী তদারকি ও সুপারভিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে রোগীরা অনেক কষ্ট নিয়ে আসেন। তাদের কষ্ট উপলদ্ধি করে হাসিমুখে সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দিতে হবে। কথায় বলে, চিকিৎসক ও নার্সরা যদি রোগীর সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলেন, রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। এ কথা অন্তরে ধারণ করেই রোগীদের সেবা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময় ১৮০৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
এমএন/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।