শাবিপ্রবি: ওদের গায়ে পুরোনো পোশাক, অনেকেরটা আবার ছেড়া। তবু তাদের আনন্দ বাঁধ মানে না।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কীন’র সদস্যরা মিলিত হয়েছিলেন পোশাক বিতরণ উৎসবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক মাজহার মোশাররফ প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও পথশিশুদের মধ্যে পোশাক বিতরণ করা হলো।
এদিকে, শাবিপ্রবি’র অপর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’ও মঙ্গলবার থেকেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে পোশাক বিতরণ শুরু করে। সিলেট নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে চলে তাদের পোশাক বিতরণ কর্মসূচি।
এর আগে একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে ‘স্বপ্নোত্থান’র পোশাক বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. রাশেদ তালুকদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা পারভিন প্রমুখ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’র সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরিন তারিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এবারের পোশাক বিতরণ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীসহ অনেকেই আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন।
এ উৎসবের আহ্বায়ক দিশা নাদিয়া বলেন, সমাজের অবহেলিত শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেবার জন্যই আমাদের এ প্রয়াস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এ উদ্যোগ সম্পর্কে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমি খুবই খুশি, খুবই উৎফুল্ল। সুবিধাবঞ্চিত এসব বাচ্চাদের ঈদের আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ‘কীন’ ও ‘স্বপ্নোত্থান’কে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
এসইউ