ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মির্জাপুরে মাধ্যমিকের বই কেজি দরে বিক্রি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫
মির্জাপুরে মাধ্যমিকের বই কেজি দরে বিক্রি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে প্রাথমিক তদন্তে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

 

এর আগে, রোববার বিকেলে ঘটনার তদন্ত দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করে ওই এলাকার বাসিন্দারা। ইউএনও বিষয়টি যাচাই করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ০৬ জুলাই রাতে ভাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন ও নৈশ প্রহরী ২০১৪ ও ২০১৫ সালের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ওই এলাকার কাগজ ব্যবসায়ী আদম খানের কাছে কেজি দরে বিক্রি করেন। আদম খান পরদিন ভোরে প্রায় নয়শ' কেজি ওজনের বিভিন্ন শ্রেণির ওই পাঠ্যপুস্তক পিকআপ ভ্যানে করে মির্জাপুর কলেজ সংলগ্ন পুরাতন কাগজ ব্যবসায়ী তফিজ উদ্দিনের দোকানে বিক্রি করেন।

স্থানীয়রা বিষয়টি ইউএনও মাসুম আহমেদকে লিখিতভাবে জানায়। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুপুরে ওই কাগজ ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বিনামূল্যের বই দেখতে পান। এর আগের বছরও এই দোকান থেকে বিপুল সংখ্যক বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করা হয়েছিল।
 
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার দিন রাতে একটি পিকআপ ভ্যান স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখেছি এবং ভোরে ভ্যানটি মির্জাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী লুৎফর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন খাতাপত্রের সঙ্গে ওই পোকা ধরা কয়েক মণ বই বিক্রি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বই বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পুরনো খাতাপত্র বিক্রি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন পুরনো কাগজ বিক্রির দোকানে গিয়ে মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বই দেখতে পেয়েছি। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।