ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবির হলে হলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৫
বাকৃবির হলে হলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর থেকে ভাঙন শুরু হয় শাখা ছাত্রলীগে। আর সে ভাঙন রোধে হলে হলে ঘোষণা করা হচ্ছে নতুন কমিটি।



৭ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সংঘর্ষের পর থেকেই শোনা যায় ভাঙনের সুর। নতুন কমিটির প্রত্যাশী ও সুবিধাভোগী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান কমিটির বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করা শুরু করে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়গুলোও তুলে ধরে তারা। এতে করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বিধা-বিভক্তি।

এছাড়া, শাখা ছাত্রলীগের কমিটির বয়স দুই বছর পার হলেও সব হলে কমিটি দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি ছাত্র হলের মধ্যে আশরাফুল হক হল ও শাহজালাল হলে ছাত্রলীগের কমিটি ছিল।

এসব বিষয়ে সমালোচনা শুরুর পর সম্প্রতি একের পর এক দেওয়া হচ্ছে হল কমিটি। নতুন করে কমিটি দেওয়া হয়েছে ফজলুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বাকি হলগুলোর কমিটি। ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই বাকি হলে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

হলগুলোর মধ্যে শাহজালাল হলে সভাপতি হিসেবে রয়েছে জুনায়েদ কানন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোভন, আশরাফুল হক হলে সভাপতি পদে হাসান আল বান্না ও সাধারণ সম্পাদক পদে এ কে এম সিয়াম হোসেন, ফজলুল হক হলে সভাপতি পদে আকরামুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক পদে কাওসার আলি, বঙ্গবন্ধু হলে সভাপতি পদে আব্দুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার মনির, শহীদ শামসুল হক হলে সভাপতি রেজাউল করিম খান বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক এবং শহীদ নাজমুল আহসান হলে সভাপতি হিসেবে হুমায়ুন কবির আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাহিদ আল হাসান আসিফ। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকলেও দুটি বাদে বাকি হলে কমিটির অন্য সদস্যরা নেই।

এদিকে ২৫ ও ২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর বর্তমান কমিটি নাও টিকতে পারে এমন আশঙ্কায় নতুন কমিটিতে পদ লাভের আশায় বর্তমান কমিটিতে কোনভাবেই জড়িত হতে চাচ্ছে না অনেক নেতাকর্মী। বর্তমান কমিটিতে পদপ্রাপ্তরা নতুন কমিটিতে স্থান না পাওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা তদবির চালাচ্ছে। এজন্য বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে কমিটি বাতিলের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে তারা ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলেই শাখা ছাত্রলীগের হল কমিটি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।