রাবি: হলে সিট বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হলে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
শনিবার (০১ আগস্ট) রাত ১টার দিকে সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
অহতরা হলেন, হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র সৈকত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাসিবুর রহমান হাসিব, অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ ও বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশরাফুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসিব নামে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ২০৫ নম্বর কক্ষ থেকে ২১৩ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসাইন। কিন্তু এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান সজল ও সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি শামসুজ্জামান ইমন ওই শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে ২০৫ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করেন।
পরে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যারা হাসিবকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে সভাপতি সজল ও ইমনের নেতৃত্বে লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়।
এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে সাধারণ সম্পাদক সৈকত, কর্মী মাসুদ ও আশরাফুল গুরুতর আহত হয়।
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসাইন অভিযোগ করেন, হাসিবকে উদ্ধার করতে গেলে সজল, ইমন, কাহার, বাধনসহ আরো অনেকে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান সজল বলেন, ‘সৈকত হাসিবকে জোরপূর্বক মারধর করে ২১৩ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। তাকে আমরা উদ্ধার করতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ফোন পেয়ে হলে এসে দুই পক্ষকে শান্ত করি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন হলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
এসআর/