ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

এইচএসসির ফলের অপেক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৫
এইচএসসির ফলের অপেক্ষা ফাইল ফটো

ঢাকা: কিছুক্ষণের মধ্যেই এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।  

সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

দুপুর ২টা থেকে অনলাইনে এবং মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল সংগ্রহ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

এসএমএসে ফল পেতে HSC স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
 
আর এইচএসসি ভোকেশনালের জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2015 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

অনলাইনে ফল পেতে www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এই ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোড করতে পারবে।

প্রতিবছর সকল বোর্ডে সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হলেও এবার থাকছে না কোন সেরা প্রতিষ্ঠান, বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি।

গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়া পরীক্ষা সারা দেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে গ্রহণ করা হয়।

১১ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ব্যবহারি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ১৩ থেকে ২২ জুন।

গত এসএসসি পরীক্ষা বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে পড়ে ১৬ দিনে মোট ৩৬৮টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। হরতালের কারণে ব্যবহারিক পরীক্ষা পিছিয়ে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করা হয়।

তবে অবরোধ চললেও ‘অনানুষ্ঠানিক’ ঘোষণা ছাড়াই তা অচল হওয়ার মধ্যে সময়মত এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।