রাজশাহী: পে-স্কেল পুনরায় নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা বলেছেন, অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আর এর জন্য পে-কমিশন রিপোর্ট প্রস্তুতকারী সচিবরা দায়ী।
পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ ও তা পুনরায় নির্ধারণের দাবিতে পূর্বঘোষিত ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে রোববার (১৬ আগস্ট) রাবি শিক্ষকরা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রেজাউল করিম বাদলের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের সিনেট ভবনের সামনে সকালে শতাধিক শিক্ষক অবস্থান নেন। বেলা ১টা পর্যন্ত তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি চলে।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রফেসর রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর অরুণ কুমার বসাক, আরবি সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক এস এম শফিউজ্জামান এবং সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাণের দাবি। সরকারের কাছে অনুরোধ অতি দ্রুত শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিন।
এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহের প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। একই সঙ্গে ওই সময়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথাও জানান তারা।
সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা জানান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি রোববার কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হবে। ওই সময় ক্লাস বর্জন করে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান করবেন শিক্ষকরা। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে, রোববার রাবি শিক্ষকদের কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০টি বিভাগে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
এসএস/এসইউ