বরিশাল: সেরাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরির বয়সসীমা পার হওয়ার পরেও বেআইনিভাবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) বরিশালস্থ আগৈলঝাড়া সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী আহাম্মদ।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মোঃ আজাদ রহমান।
মামলার বিবাদীরা হলেন, সেরাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসকে নজরুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদল সেরনিয়াবাত, অভিভাবক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জামাল, কালু মোল্লা, হেমায়েত উদ্দিন সেলিম মোল্লা, মহিলা অভিভাবক সদস্য কুমকুম নাহার, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য গোলাম রসুল সন্যামত, বাবুল শৈলেশ চন্দ্র তপাদার, আসমা বেগম, জামিল সেরনিয়াবাত, দাতা সদস্য মোজাফফর সিদ্দিক, আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, রুপালী ব্যাংক শিকারপুর শাখার ব্যবস্থাপক, বরিশাল জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক বেসরকারি শিক্ষকরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকতা করতে পারবেন। তবে আগৈলঝাড়ার সেরাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসকে নজরুল ইসলামের বয়স ৬০ অতিক্রম করলেও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে এখনও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ওই স্কুলে চাকরিতে প্রবেশের সময় বয়সের সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১৯৫৫ সালের ১৫ জুলাই তার জন্মতারিখে উল্লেখ করা আছে। সে গত ১৫ জুলাই ৬০ বছর বয়সে পা রেখেছেন প্রধান শিক্ষক এসকে নজরুল ইসলাম।
সরকারি বিধি অনুযায়ী এরপর ১ দিনের জন্যও তিনি দায়িত্ব পালন করলে তা বেআইনি বলে গণ্য হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক এসকে নজরুল ইসলাম অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে ১৬ জুলাই এক বেআইনি রেজ্যুলেশনের মাধ্যেমে তিনি তার চাকরির বয়সসীমা ৩ মাস বৃদ্ধি করেন।
বেআইনিভাবে যে রেজ্যুলেশন করা হয়েছে তার ওপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
কেএইচ