ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিন ব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। দেশের নানা সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ত্রিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা মোট ৩৫০টি স্টলে তাদের উদ্ভাবিত ধারণাগুলো প্রদর্শন করছেন। স্টলগুলোতে যানজট নিরসন,সিকিউরিটি ব্যবস্থা,পরিবশবান্ধব নগর ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা, লাইটিং কুইজ গেইম, সৌরশক্তির ব্যবহারসহ নানা প্রকল্প স্থান পেয়েছে।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামহিদুর সিরাজ ও তার দল দেখিয়েছে, কুইজ প্রতিযোগিতার জন্য কিভাবে সঠিক উত্তর নির্বাচন করা যায়। দশটি প্রশ্নোত্তর দেয়া বোর্ডের মধ্যে কেবল সঠিক উত্তরে ধাতব ক্লিপ যুক্ত করলেই বাতি জ্বলে উঠবে। ভুল উত্তরে ধাতব ক্লিপ দিলেও বাতি জ্বলবে না।
ভিকারুন নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী মিলে তৈরি করেছেন একটি ওয়েব সাইট। যে ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বই পড়তে পারবেন। আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েবেসাইটে রয়েছে অডিওর ব্যবস্থা।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হানুল কবির দেখিয়েছে একটি কৃষি খামারে কীভাবে কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই মাছ, মুরগি ও গবাদি পশু পালন করা যায়। আবার এসব প্রাণীর বর্জ্য থেকেই কীভাবে জৈব সার ও জৈব জ্বালানি তৈরি হবে তাও দেখানো হয় ওই প্রজেক্টে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নিতে আসা এসব ক্ষুদে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের প্রকল্প পরিদর্শনে এসেছেন অনেক অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ী। তারা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে এসব প্রকল্প দেখেন এবং শিশুদের উত্সাহিত করেন।
অভিভাবক ও দর্শনার্থী মুস্তারী বেগম ঝর্ণা জানান, তার সন্তান হাদীদুল হক এ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। সন্তানের স্কুলের অনুষ্ঠান, আবার তার সন্তানও অংশ নিয়েছে। তিনি এসেছেন সন্তানকে উৎসাহ দিতে এবং অন্য শিক্ষার্থীদের আয়োজন দেখতে।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন জানান, বিজ্ঞান বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রতিবছরই এ মেলার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় তাদের মধ্যে একধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যা তাদের ভবিষ্যত জীবনেও কাজে লাগবে।
তিনি এ অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকল শিক্ষকদের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এসব শিশুদের মধ্যে থেকেই দেশ ভবিষ্যতে কোন এক বড় বিজ্ঞানী পেতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মেলা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
এইচআর/আরআই