ঝিনাইদহ: প্রশ্নপত্রে যে ক’টি প্রশ্ন থাকার কথা, তার চেয়ে কম প্রশ্ন দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হিসাব বিজ্ঞান বিবিএ শেষবর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই অসম্পূর্ণ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে ঝিনাইদহের ১০৭ জন শিক্ষার্থী।
সূত্র জানায়, বুধবার অনুষ্ঠিত হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে ১৭টি প্রশ্ন থাকার কথা। কিন্তু প্রশ্ন ছিল ১৫টি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানায়। ঝিনাইদহ সরকারি কে সি কলেজের পরীক্ষা সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরু হলে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে ১০৭ জন শিক্ষার্থী অসম্পূর্ণ ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা শেষ করে।
পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে শুধু তাদের প্রশ্নই অসম্পূর্ণ ছিল।
ড্যানী আহম্মেদ নামে এক ছাত্র জানান, প্রশ্নপত্রে ১৭টি প্রশ্ন থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ১৫টি প্রশ্ন ছিল। বাকি দু’টি প্রশ্ন ছাপানো হয়নি। যেখানে আমাদের পূর্ণ নম্বর অর্জন করা সম্ভব হতো।
আমিনুল ইসলাম নামের আরএক ছাত্র জানান, যে দু’টি প্রশ্ন ছাপানো হয়নি সেই দু’টি প্রশ্নের নম্বর পূর্ণ পাওয়া সম্ভব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলা আমাদের ফলাফল বির্পযয়ের কারণ হবে। তাই আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারি কে সি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
আরএ