ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ধর্মীয় শিক্ষাকে নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় ধর্মীয় শিক্ষার মধ্য দিয়ে।

ধর্মীয় মূল্যবোধই নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। শিক্ষকদের মধ্যে ইসলামিক মনোভাব থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন ধর্মীয় মূল্যবোধকে মাথায় রেখে নৈতিক শিক্ষা লাভ করে সেজন্য শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে নব প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার‌্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, শত বছর পর আলেম-ওলামাদের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এর কার‌্যক্রম শুরু করতে হয়। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। অচিরেই পুরিপূর্ণভাবে এর কার‌্যক্রম শুরু হবে।

মন্ত্রী বলেন, ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে। তা না হলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু আসবে যাবে তা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান চর্চার গবেষণাগার। তবেই সেটা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্থকতা। আর এজন্যই ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দেখা হচ্ছে। যেন সেখানে বড় ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। গবেষণাগার থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে থাকবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা।

এ সময় শিক্ষার উন্নয়ন এবং মান সম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধই নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। তাই সরকার সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইদুল্লাহ বলেন, এর আগে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার‌্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এ এম বাহাউদ্দিন প্রমুখ।

শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও যোগ্যতা বৃদ্ধিসহ মাদরাসার যাবতীয় বিষয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত করার লক্ষে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে ৩৭ নং আইন পাশ করার মাধ্যমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

উক্ত মাদ্রাসাসমূহের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার‌্যক্রম ২০০৬ সালে হতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
জেডএফ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।