ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভরসার নাম স্টুডেন্ট ফার্নিচার মার্কেট

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
ভরসার নাম স্টুডেন্ট ফার্নিচার মার্কেট ছবি: বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: নাম আব্দুস সাত্তার। বয়স সত্তরের কাছাকাছি।

জীবনের সিংহভাই কেটে গেছে ফার্নিচার ব্যবসায়। এখনও সেই ফার্নিচার ব্যবসাই তার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল।

বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা। পাশেই টেম্পল রোড। এ রোডই আব্দুস সাত্তারের মার্কেট। তার মতো ১২ থেকে ১৫ জন এ মার্কেটের ব্যবসায়ী। তবে এ মার্কেটের ক্রেতা কেবলই শিক্ষার্থীরা।

তাদেরই একজন সাকিব। বাড়ি দিনাজপুর। ছাত্রাবাসে থেকে বগুড়ায় বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনতে এখানে এসেছেন। কারণ, এ মার্কেটে স্বল্প দামেই সবকিছু পাওয়া যায়। তাই এটিই শিক্ষার্থীদের প্রধান ভরসা।

রোববার (২৩ আগস্ট) শহরের টেম্পল রোডে অবস্থিত ‘স্টুডেন্ট ফার্নিচার মার্কেট’ ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য উঠে আসে।

আব্দুস সাত্তার, রতন, বিরেন, বিকাশ, দীপক, রাসেলসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তারা টেম্পল রোডে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার সামগ্রীর ব্যবসা করে আসছেন।

এখানে শিমুল, পিটাহারি, পাকুড়সহ বিভিন্ন কমদামি গাছের কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার বিক্রি করা হয়। এসব সামগ্রী দামেও অত্যন্ত সস্তা। এর মধ্যে প্রতিটি চেয়ার ২শ থেকে ২শ ৫০টাকা, টেবিল ৩শ ৫০ থেকে ৪শ টাকা, র‌্যাক ৩শ ৫০ থেকে ৪শ টাকা, আলনা ৪শ ৪শ ৫০টাকা ও চৌকি ৫শ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

তারা জানান, বগুড়া জেলা শহরে অনেক নামি-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সুবাদে লেখাপড়ার জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় আবাসিক সুবিধা অনেক কম। ফলে তাদেরকে ব্যক্তি মালিকানাধীন ছাত্রাবাসে থাকতে হয়। তাই এ মার্কেটের প্রধান ক্রেতারা হলেন স্থানীয় কলেজগুলোতে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা।

তবে ভর্তির সময় তাদের বেচা-কেনা বেশি হয়। অন্যসময় তেমন একটা বেচা-কেনা তেমন হয় না বলে জানান তারা।

বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজে পড়তে আসা দিনাজপুরের সাজ্জাত হোসেন, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পারভেজ, গাইবান্ধার সোনিয়া আকতার, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে পড়তে আসা গোবিন্দগঞ্জের ইয়াসমিন, ফাতেমাসহ একাধিক শিক্ষার্থীরও একই মত।

তারা বাংলানিউজকে জানান, বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু নিয়ে আসা গেলেও আসবাবপত্র তো আর আনা যায় না। আবার পরিবারের আর্থিক বিষয় মাথায় রেখে দামি আসবাবপত্রও কেনা সম্ভব হয় না। তাই এখান থেকে স্বল্প দামে জিনিসপত্র কেনেন সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
এমবিএইচ/এসএস                                                                                                                   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।