ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এবার প্রবেশ পত্র না পাওয়ার বিড়ম্বনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এবার প্রবেশ পত্র না পাওয়ার বিড়ম্বনা

ঢাকা: চাকরি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতায় একই দিন অনুষ্ঠিতব্য শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশ প্রবেশ পত্র হাতে না পাওয়ায় এবার চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী।

লাখ লাখ প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ৬ থেকে ৭ হাজার প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

প্রবেশ পত্র না পেলে অনেকের সরকারি চাকরির শেষ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হবে না।

স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য এসব চাকরি প্রার্থী বলছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে অভিযোগ করেও সুরহা হচ্ছে না। তীব্র প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ ও প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা দুর্ভাগ্যজনক।

আগামী ২৮ ও ২৯ আগস্ট এনটিআরসিএ’র অধীনে বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২৮ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত  স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ে ৪১ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। আর ২৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অংশ নেবে ৩৪ হাজার ৭৮৬ জন পরীক্ষার্থী।

গত ১২ জুন অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ে তিন লাখ ১৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং কলেজ পর্যায়ে এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৩১; অর্থাৎ মোট চার লাখ ৮০ হাজার ৬৭০ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ২১ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

আগে স্কুল এবং কলেজ উভয় পর্যায়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা একই দিন বিরতিহীনভাবে গ্রহণ করা হতো। এবারই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা পৃথক দিনে নেওয়া হচ্ছে।
 
প্রিলিমিনারি টেস্ট ২০টি জেলাভিত্তিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুধুমাত্র সাত বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
 
স্কুল ও কলেজের শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ায় রাস্তায় নেমেছে এসব চাকরিপ্রার্থী।
 
প্রবেশ পত্র না পেয়ে কোন সুরাহা করতে না পারায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন একদল চাকরিপ্রার্থী।
 
প্রবেশ পত্র না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
 
প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিণ্ট কপির সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র প্রেরণ করার পর প্রবেশ পত্র পাওয়ার কথা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। পরে তারা স্কুল-কলেজে আবেদন করতে পারবেন।
 
এনটিআরসিএ’র দাবি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সনদ জমা না দেওয়া, অথবা ভুল কাগজ জমা দিয়েছেন, সে কারণে এ সমস্যা হচ্ছে।
 
প্রবেশ পত্র না পাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এ এম এম আজহার।
 
২৮ আগস্ট ১৭ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, সমবায় অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। একই দিনে পরীক্ষা নিয়েও বিড়ম্বনার শেষ নেই পরীক্ষার্থীদের।
 
এরইমধ্যে ২৯ আগস্টের ২০১২ সালের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ২৮ আগস্টের নিবন্ধন পরীক্ষা পেছানোর কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র সদস্য ফাতেমা বেগম।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।