ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

৩৪তম বিসিএসে ২১৫৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
৩৪তম বিসিএসে ২১৫৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

ঢাকা: অবশেষে ৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৫৯ জনকে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে সুপারিশ করেছে কমিশন।



পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ডায়ানা ইসলাম সিমা শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

কমিশনের ওয়েবসাইটে (http://www.bpsc.gov.bd/) সুপারশিকৃতদের তালিকা পাওয়া যাবে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৩ জন। সুপারশিকৃতদের মধ্যে এক হাজার ৩৮৮ জন পুরুষ ও ৭৭১ জন নারী।

ওয়েবসাইট ছাড়াও মোবাইলে ফল পাওয়ার জন্য PSC স্পেস 34 স্পেস রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
 
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তথ্য বিভ্রাটের কারণে ২০ জনের সুপারিশ স্থগিত রেখেছে কমিশন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কমিশনে যোগাযোগ করতে হবে।

উত্তীর্ণ হয়েও পদ স্বল্পতার কারণে ছয় হাজার ৫৮৪ জনকে সুপারিশ করতে পারেনি কমিশন, তাদেরকে ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০’ অনুযায়ী সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রথম/দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করবে পিএসসি। তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয় নয় হাজার ৯৬৩ জনকে।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮২২ জন।

চলতি বছরের ২৪ থেকে ৩১ মার্চ ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ জন।

এরপর ৪ থেকে ২৫ মে অনুষ্ঠিত হয় বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা।

বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২ পদে নিয়োগের জন্য ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন।

গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী।

কোটা জটিলতায় দুই দফায় প্রকাশ করা হয় ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল।

প্রথম দফায় গত বছরের ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।

কিন্তু প্রকাশিত ফলে মেধাবীরা অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু হলে ১৪ জুলাই পুনর্মূল্যায়িত ফল প্রকাশ করা হয়, যাতে ৪৬ হাজার ২৫০ জন উত্তীর্ণ হন।

পুনর্মূল্যায়িত ফলে আদিবাসীরা বাদ পড়েন বলে অভিযোগ উঠে। আগের ফলে উত্তীর্ণ হলেও সংশোধিত ফলে ২৮০ জনের নাম ছিল না।

১৬ ফেব্রুয়ারি তাদেরও যোগ করে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়, যাতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ হাজার ৫৩০ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫/আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।