খুলনা: স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল বের করেন শিক্ষকরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কার্য অদম্য বাংলার চত্বর থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে ফের একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪/৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সচিব কমিটির সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার ন্যায্য দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে এলেও তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি না দেখিয়ে বা বিবেচনা না করে ৮ম পে-স্কেল পাস করা হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য খুবই কষ্টকর, দুঃখজনক ও অমর্যাদাকর। জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অমর্যাদা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঘোষিত পে-স্কেলে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে ২০ গ্রেডের স্থলে প্রকৃত পক্ষে ২২টি গ্রেড করা হয়েছে। ২০ ধাপের উপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের রাখা হয়নি।
মন্ত্রিসভা কমিটি বা অন্যকোনো আলাদা কমিটি করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের বিষয়ে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তা চূড়ান্ত করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকরা ক্লাসে থাকতে চাই। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে যেন রাস্তায় থাকতে না হয়। এতে শিক্ষার ক্ষতি হবে। আমরা তা চাই না।
তিনি বলেন, আমরা হিসেব করে দেখেছি যে, সারাদেশে সর্বোচ্চ এক হাজার সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সিনিয়র অধ্যাপককে সর্বোচ্চ স্কেলে বেতন বাড়াতে মাসে ৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত লাগবে। রাষ্ট্রের জন্য এটা বড় বিষয় নয়। আমরা বলছি বেতন বৈষম্য কোনো বিষয় নয় এটা শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্ন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের বিষয়ে সহানুভূতিশীল এবং এ ব্যাপারে আলাদা কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেবেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল কার্যকর করা হবে বলেও আশা করেন এই শিক্ষক।
খুবির শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান এ সময় বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা মৌন মিছিলে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
এমআরএম/জেডএস/এমজেএফ