ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষকদের আন্দোলনের সমালোচনা করার এক দিন পরই শিক্ষকদের ‘মর্যাদার লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার তার নিজস্ব ফেসবুক একাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মর্যাদার জন্য লড়াই করছে। এ লড়াই চলবে। এটা বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনের সাথে আছে পাঁচ কোটি শিক্ষা পরিবার ও দেশের ১৬ কোটি মানুষ।
একদল ‘অবিমৃষ্যকারী’ শিক্ষকদের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে দাবি করে ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, ‘ঐতিহাসিক কাল থেকেই এদেশে শিক্ষকরা মর্য্যাদার আসনে উপবিষ্ট। সারা দুনিয়াতেও তাই। শিক্ষকদের মর্য্যাদা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মন খারাপ না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন, এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। আন্দোলন চলবে।
জাতির সামনে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন স্ট্যাটাসে।
রোববার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ‘শিক্ষকদের আন্দোলনের কোন প্রয়োজন ছিল না’ উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেন।
এ ব্যাপারে সরাসরি কথা বলতে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। পাওয়া যায়নি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের অপর শীর্ষ নেতা অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালকেও।
বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের মর্যাদা ‘অবনমনের’ প্রতিবাদ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শুরুতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি পালন, বক্তব্য-বিবৃতি ও নির্দিষ্ট সময়ে কর্মবিরতি পালন করলেও গত ৮ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এদিন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ ছিলো।
পরবর্তীতে আরও কয়েক দফা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনসহ ঈদের পর ‘আরও কঠোর’ কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। তবে ঈদের পর সপ্তাহ পার হলেও নতুন কোন কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
এসএ/আরআই