ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, এ বিষয়ে এখনই একটি ভালো তদন্তের উদ্যোগ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দশ দিনের সময় দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত, উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ অবারিত ও প্রশ্নফাঁস বন্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বক্তব্যে আনিসুজ্জামান বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরিবেশে সংঘাত থাকলে পুরো ব্যবস্থার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দেশে এখন শান্তিপূর্ণ এমন কোনো পরিবেশ নেই যেখানে যুক্তি দিয়ে কথা বললে গ্রহণ করা হয়। তাই আগে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাও অন্য সব কিছুর মতো ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের প্রসঙ্গ তুলে ড. কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের অনবরত এসব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই ফাঁসের তদন্ত ও পুনরায় পরীক্ষা আয়োজনে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, সংসদের নির্বাচন যতদিন না হবে ততদিন দেশে কোনো গতি আসবে না।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়ার দাবিকে উপেক্ষা করা আর প্রশ্ন ফাঁস করা মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন বলে মত দেন তিনি।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, দেশে এখন কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে কিন্তু কোনো তদন্তও হচ্ছে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দেশের এটি চরম খারাপ সময়। এখন মেধাবীরা বাদ পড়ছে। অন্যদিকে চোররা পার পেয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধভাবে মাঠে থেকে আন্দোলনের তাগিদ দেন তিনি।
গোলটেবিলে আলোচনায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা মেধা শুন্যতায় পড়ে যাবো।
তিনি শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিতে কেন শিক্ষামন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসএ/আইএ