ঢাকা: আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা-২০১৫। এবার এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
মন্ত্রী জানান, এবার জেএসসি পরীক্ষায় ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৭ জন ও জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৬ জন অংশ নেবেন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪১ জন বেশি।
বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ ২ হাজার ৬২৭টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ছাত্রের সংখ্যা ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬৭০ জন, আর ছাত্রী ১২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৩ জন।
জাতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা তুলে দিলে অনেক পরিবারের সন্তানেরই ক্লাসে আসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, তবে এটা স্থায়ী পরীক্ষা নয়, এক সময় হয়তো তুলে দিতে পারি।
পরীক্ষায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলিসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই তাদের জন্য রয়েছে শ্রুতি লেখকের সুযোগ।
এছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রম পরীক্ষার্থীরা পাবে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত বাড়তি সময়, চাইলে অভিভাবকেরাও সঙ্গে আসতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রী।
প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের পর এবার প্রায় ৫০০ স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রথমবার জেএসসি পরীক্ষা দেবে বলেও এসময় জানান তিনি।
প্রশ্নফাঁসে আইন কড়াকড়ি
পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে সাজার বিধান রেখে আইন কড়াকড়ি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আইন নিয়েও সমস্যা আছে, ১৯৮৪ সালে যে আইন তৈরি করা হয়েছে, তা সংশোধন করে সাজা কমানো হয়েছে। আইনটাকে আরও কড়াকড়িভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ব্যবহার করা যায় কিনা দেখব। ফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করলেও সাজা হবে।
সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া খুবই কঠিন কাজ বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজি প্রেসে প্রশ্ন মুখস্থ করেও আসতে পারবে না।
কোচিং সেন্টারগুলো ছাত্র টানতে প্রশ্ন ফাঁস ও শর্ট সাজেশন তৈরি করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্ব দিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো মনিটর করবে।
শিক্ষকরা পরীক্ষার হল থেকে এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস করেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা খুবই অন্যায়। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছি। ভিজিলেন্স টিমকে বলে দিয়েছি, এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িতদের ধরা হবে।
পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভবিষতে সংষ্কার আনা হবে বলেও এ সময় জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫/আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/আরএইচ