রাজশাহী: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় রাজশাহীতে ২৪ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া একজনের কারাদণ্ড ও অপর দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) পরীক্ষা চলাকালে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা কলেজে কেন্দ্র, রাজশাহী সরকারি কলেজ কেন্দ্র ও সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার মাত্র ৭ মিনিট মাথায় কাশিয়াডাঙ্গা কলেজের হল রুম থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে বের করে আনা হয়। পরে তাদের প্রবেশপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাদের নাম তালিকা করে স্বাক্ষর নিয়ে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ পন্থা অবলম্বন করায় রাজশাহী সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সময় সরকারি সিটি কলেজ থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরীক্ষার্থী সুমন মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় তারা জানতে চান মোবাইল ফোনগুলো কী করবেন। দায়িত্বরত শিক্ষক মোবাইলগুলো বন্ধ করে পকেটে রাখার পরামর্শ দেন। তবে পরীক্ষা শুরুর পরপরই উপপরিচালক এসে প্রবেশপত্র, খাতা এবং মোবাইল কেড়ে নিয়ে সবাইকে বাইরে বের করে দেন।
আরেক পরীক্ষার্থী মাসুদ রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা প্রত্যেকে দূর-দূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। সবার কাছেই মোবাইল রয়েছে। অথচ মোবাইল বন্ধ করে রাখার পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রের অব্যস্থাপনা এবং সততার সুযোগ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করা হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হন নি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তা।
তবে, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শর্ত ভঙ্গ করে পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করাসহ
বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করায় ২৪ জনকে বহিষ্কার, দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা ও একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এসএস/পিসি