ঢাকা: বেতন-স্কেল, পদোন্নতিসহ সংশ্লিষ্ট ৫ দাবিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের শরণাপন্ন হয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-প্রতিনিধিরা। তবে তাদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো পে-স্কেলের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রচলিত পে-স্কেলেই বেতন-ভাতা পাবেন তারা।
রোববার (০১ নভেম্বর) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রীর সাক্ষাতে আসেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোটের ৮ প্রতিনিধি। বৈঠকে তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ (রোববার) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আছে। সেখানে এসব নিয়ে কথা বলবো। এই প্রথম কেউ আমাকে বিষয়গুলো জানাতে এলো। এর আগে আপনাদের বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানান নি। দেখা যাক, কি করা যায়।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- ৮ম পে-স্কেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের নিচের ধাপেই নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে এন্ট্রিপদ ধরে সব আর্থিক সুবিধাসহ শতভাগ পদোন্নতি প্রদান, ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে টাইম স্কেল বহালসহ যথাসময়ে যোগদান তারিখ অনুযায়ী বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধিহারে দেওয়া, সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক পদে পদায়ন করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া, প্রাথমিক ডিপার্টমেন্টকে নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণা।
প্রতিনিধিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে একই পদে রয়েছেন। এর মধ্যে খুবই কম বয়সী কেউ প্রধান শিক্ষক হয়ে সরাসরি নিয়োগ পেয়ে এসেছেন। এতে তারা মর্যাদায় আঘাত পেয়েছেন।
বর্তমান নিয়মে প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ হবে ৩৫ শতাংশ এবং পদোন্নতিতে ৬৫ শতাংশ। এটিকে বৈষম্য উল্লেখ করে হ্রাসের অনুরোধ জানান। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা যেন ন্যূনতম ডিগ্রি পাস ধরা হয়, সে অনুরোধও জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
এসকেএস/জেডএস