মানিকগঞ্জে: সারা বছর স্কুলে পাঠদান করা হয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ে, কিন্তু পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের। শেষমেশ বাধ্য হয়ে না পড়া বিষয়েই পরীক্ষা দিতে হয়েছে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবারের (১৭ নভেম্বর) জেএসসি পরীক্ষায় ভূতুড়ে এ কাণ্ড ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে গিয়ে এ হয়রানির শিকার হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
বালিয়াটী ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও প্রধান শিক্ষক আছালত জামান খান বাংলানিউজকে জানান, তার কেন্দ্রে অন্যান্য কয়েকটি স্কুলের সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮০ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
এদের মধ্যে ৯০ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কৃষি শিক্ষা বিষয় রয়েছে। কিন্তু স্কুলে তাদের পড়ানো হয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ে।
মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষার প্রশ্ন পেয়ে বিষয়টি নিয়ে হৈ-চৈ শুরু করে। তখন তাদের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তাদের জানানো হয় রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে কৃষি শিক্ষা বিষয় উল্লেখ থাকায় তাদের এ বিষয়েই পরীক্ষা দিতে হবে।
এ বিষয়ে পাকুটিয়া বিসিআরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম মিয়া জানান, বছরের শুরুতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কৃষি শিক্ষা বই সরবরাহ না করে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বই দেওয়া হয়। তাই তারা ওই বিষয় পড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, নাগরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি জানান, ওই উপজেলায় শুরু থেকেই সব বিষয়ের বই ছিল। অভিযুক্ত বিসিআরজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের এ হয়রানির জন্য তিনিই দায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এসআর